ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ ও লক্ষণ

You are currently viewing ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ ও লক্ষণ

ফুসফুসের ক্যান্সার একটি জটিল এবং ঘন ঘন জবরদস্তিমূলক অসুস্থতা যা প্রাথমিক পর্যায়ে স্বীকৃত সমস্যার সৃষ্টি না করেই বিকশিত হতে পারে। এটি প্রাথমিক সনাক্তকরণ পরীক্ষা করে এবং আরও উন্নত পর্যায়ে নির্ধারণের জন্য অনুরোধ করে।

যে কোনো ক্ষেত্রে, ফুসফুসের ক্যান্সারের সম্ভাব্য প্রাথমিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং ইঙ্গিতগুলি বোঝা সুবিধাজনক মধ্যস্থতা এবং উন্নত ফলাফলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তবে, এটি মনে রাখা অপরিহার্য যে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির উপস্থিতি সম্পূর্ণরূপে ফুসফুসের ক্যান্সারকে নির্দেশ করে না, কারণ তারা অন্যান্য বিভিন্ন পরিস্থিতির সাথেও সম্পর্কিত হতে পারে।

আপনি যদি এই সমস্যার মধ্যে  কোনোটি অনুভব করেন, তাহলে একটি নিবিড় মূল্যায়নের জন্য চিকিৎসা পরিষেবা পেশাদারদের পরামর্শ নেওয়া অত্যাবশ্যক।

ইন্ডাস্ট্রাস হ্যাক:

ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রাথমিক এবং সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে একটা হলো দীর্ঘস্থায়ী শুকনো কাশি, যাকে আমরা সাধারণভাবে “হাঁসি” বলি। যদিও কাশি অনেক সময় সাধারণ সর্দি-জ্বর বা অ্যালার্জির জন্য হয়, কিন্তু যদি সেই কাশি দীর্ঘদিন ধরে চলে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে বা স্বভাব বদলাতে থাকে, তাহলে সেটা উপেক্ষা করা ঠিক নয়।

অনেক সময় দেখা যায় হাঁসির ধরণ বদলে যায় — যেমন আগের চেয়ে বেশি ঘন ঘন হয়, শব্দটা হয়ে ওঠে আরও গভীর বা কর্কশ, কিংবা থুতুর সঙ্গে রক্ত দেখা যায়। এসব পরিবর্তন ফুসফুসের কোনো গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে, তাই এমন লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুব জরুরি।

বায়ুপ্রবাহ:

ফুসফুসের ক্যান্সার আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাসের পথে প্রভাব ফেলতে পারে, যার ফলে অনেক সময় খুব সামান্য পরিশ্রমেই দম বন্ধ হয়ে আসার অনুভূতি হয়। শুরুতে এই লক্ষণটা তেমন গুরুত্ব না পেলেও, রোগ যত বাড়ে ততই এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া বা হঠাৎ করে দম আটকে আসার অনুভব — এই ধরনের উপসর্গ আসলে ফুসফুসে বাতাস চলাচলের পথে বাধা সৃষ্টি হওয়ার কারণে হয়। টিউমার যদি বড় হয়ে শ্বাসনালির রাস্তায় চাপে ফেলে, তাহলে তা ফুসফুসের কিছু অংশে বাতাস ঠিকভাবে পৌঁছাতে দেয় না। এতে ফুসফুসে জ্বালা, হাঁপ ধরা বা ভেতরে ভারি লাগার মতো অনুভূতি দেখা দেয়। এই লক্ষণগুলো অবহেলা না করে, দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া উচিত।

বুকে ব্যথা:

ফুসফুসের ক্যান্সার অনেক সময় বুকে, কাঁধে বা পিঠে ব্যথার অনুভূতি তৈরি করতে পারে। এই ব্যথা কখনও কখনও নিস্তেজ বা ধীরে বাড়তে পারে, আবার কখনও খুব তীক্ষ্ণ ও একটানা হতে পারে। এমন ব্যথা তখনই বেশি দেখা যায় যখন ক্যান্সার ফুসফুসের চারপাশের টিস্যু বা স্নায়ুকে আঘাত করে।

তবে এটা মনে রাখা খুবই জরুরি যে, সব ধরনের বুকের ব্যথাই ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ নয়। অনেক সময় বাইরে পেশীর টান, হাড়ের ব্যথা, বা হজমের সমস্যা থেকেও একই ধরনের ব্যথা অনুভব হতে পারে। তাই যদি ব্যথাটা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা ধীরে ধীরে বেড়ে যায়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার — কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করাই চিকিৎসার জন্য সবচেয়ে বড় সুযোগ তৈরি করে।

অকারণে ওজন কমে যাওয়া :

অকারণে হঠাৎ করে অনেকটা ওজন কমে যাওয়া — এটা ফুসফুসের ক্যান্সারসহ অনেক ধরনের ক্যান্সারের একটি সাধারণ কিন্তু চিন্তার কারণ হতে পারে। রোগী যখন কোনও ডায়েট করছেন না বা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন না, তবুও যদি শরীর থেকে দ্রুত ৪-৫ কেজি বা তার বেশি ওজন ঝরে যায়, তাহলে সেটিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়।

ক্যান্সার কোষগুলো শরীরের প্রচুর শক্তি ব্যবহার করে। শরীর তখন ধীরে ধীরে পুষ্টি হারাতে থাকে এবং এক সময় ওজনও কমতে শুরু করে। অনেক সময় খিদে কমে যায়, হজমের গণ্ডগোল হয় — এগুলোও ওজন কমার পেছনে ভূমিকা রাখে।

তাই হঠাৎ ওজন কমে গেলে বা শরীর দুর্বল লাগতে শুরু করলে দেরি না করে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ যত তাড়াতাড়ি বোঝা যায়, তত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়।

ক্লান্তি:

অকারণ ক্লান্তি বা সবসময় দুর্বল লাগা — এটি ফুসফুসের ক্যান্সারের একটি প্রথমদিকের কিন্তু সহজে উপেক্ষিত লক্ষণ হতে পারে। যখন শরীরের ভেতরে ক্যান্সার কোষ বেড়ে ওঠে, তখন তারা শরীরের প্রচুর শক্তি শোষণ করে ফেলে। ফলে রোগী প্রায়ই অনুভব করেন যে কিছু না করেও শরীর একেবারে নেতিয়ে পড়েছে।

এই ক্লান্তি আবার আরও তীব্র হতে পারে যদি তার সঙ্গে থাকে দীর্ঘস্থায়ী কাশি, শ্বাসকষ্ট, বা অসুস্থতার সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য শরীরের ভেতরের অতিরিক্ত চেষ্টা। অনেক সময় রাতভর ঘুমিয়েও ক্লান্তি যায় না — বরং শরীর ভারী লাগে, কাজকর্মে আগ্রহ থাকে না।

এই ধরনের স্থায়ী ক্লান্তিকে অবহেলা না করে, দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া উচিত। কারণ শরীরের এমন অস্বাভাবিক পরিবর্তন অনেক সময় ভেতরের গুরুতর সমস্যার সংকেত দিতে পারে।

নিঃশ্বাসের রোগে :

যদি কারো বারবার ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো শ্বাস যন্ত্রের  রোগ হয়, তাহলে সেটা ফুসফুসের ভেতরে লুকিয়ে থাকা বড় কোনো সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। ফুসফুসের ক্যান্সার শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধক্ষমতাকে দুর্বল করে ফেলে, ফলে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে একজন মানুষ সহজেই ফুসফুসের ইনফেকশনে ভুগতে পারেন এবং তা বারবার ফিরে আসতে পারে।

যখন সঠিক ওষুধ বা চিকিৎসা নেওয়ার পরেও শ্বাসকষ্ট বা কাশির মতো সমস্যাগুলো থেকে যায়, তখন শুধু দূষণকে দোষ দিয়ে থেমে না থেকে ফুসফুসের গভীরতর সমস্যার দিকেও নজর দেওয়া দরকার। বিশেষ করে যদি ইনফেকশন বারবার হয় এবং ধীরে ধীরে দুর্বলতা, কাশি বা শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়, তাহলে দেরি না করে একটি পূর্ণাঙ্গ ফুসফুস পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত।

কারণ অনেক সময় এই ধরনের পুনরাবৃত্তিমূলক সমস্যা থেকেই ফুসফুসের ক্যান্সারের মতো গুরুতর রোগ ধরা পড়ে। যত আগে ধরা যায়, তত ভালোভাবে চিকিৎসা করা সম্ভব হয়।

ঘ্রাণ:

হুইজিং মানে হলো শ্বাস নেওয়ার সময় একটা বাঁশির মতো সূক্ষ্ম কাঁপানো বা সিটি বাজার মতো শব্দ শোনা যায়। সাধারণত এই শব্দটা তখনই হয় যখন বায়ু চলাচলের পথগুলো সংকুচিত হয়ে যায় বা আংশিক বন্ধ থাকে। হাঁপানির ক্ষেত্রে এই শব্দ খুব পরিচিত, কিন্তু শুধু হাঁপানি নয় – ফুসফুসের ক্যান্সারেও এই ধরনের শব্দ দেখা দিতে পারে।

ফুসফুসে টিউমার বা অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধির কারণে বায়ু চলাচলের পথ সরু হয়ে যেতে পারে। এর ফলে শ্বাস নিতে গেলে বাতাস ঠিকভাবে চলাচল করতে পারে না, এবং সেই বাধাগ্রস্ত বাতাস থেকেই হুইজিং শব্দটা তৈরি হয়। অনেক সময় এই শব্দটি ঘুমের সময় বা বিশ্রামের সময় স্পষ্টভাবে শোনা যায়।

যদি হঠাৎ হুইজিং শুরু হয় এবং সেটা আগের থেকে আলাদা মনে হয়, বা ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে, তাহলে সেটা অবহেলা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ, এটি ফুসফুসের ভিতরে কোনো গুরুতর সমস্যার সংকেত হতে পারে, যা প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

গিলতে  সমস্যা:

ফুসফুসের ক্যান্সার অনেক সময় এমন একটি অদ্ভুত উপসর্গ তৈরি করতে পারে যেটা আমরা সাধারণত এই রোগের সঙ্গে মিলিয়ে দেখি না – সেটা হলো গিলতে অসুবিধা, যাকে চিকিৎসার ভাষায় বলা হয় ডিসফ্যাগিয়া।

এই সমস্যা তখন হয় যখন ক্যান্সারটি আশপাশের অঞ্চল, যেমন গলা বা খাদ্যনালীতে ছড়িয়ে পড়ে। টিউমারটি যদি গলায় চাপ সৃষ্টি করে বা খাদ্যনালীর পথ সংকুচিত করে, তখন খাবার বা পানি গিলতে কষ্ট হয়। গিলতে গেলে ব্যথা হতে পারে, মনে হয় গলা আটকে যাচ্ছে, কিংবা খাবার নিচে নামছে না – এসবই ডিসফ্যাগিয়ার লক্ষণ।

এই সমস্যাটা হালকা থেকে শুরু হলেও, ধীরে ধীরে মারাত্মক হতে পারে। তাই গলায় টানা অস্বস্তি বা গিলতে সমস্যা হলে তা অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ, এটি ক্যান্সারের এক জটিল দিকের ইঙ্গিত হতে পারে এবং সঠিক ক্লিনিকাল মূল্যায়নের মাধ্যমেই কারণ নিশ্চিত করে উপযুক্ত চিকিৎসা শুরু করা যায়।

আঙ্গুলের ক্লাবিং:

কখনও কখনও ফুসফুসের ক্যান্সার শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন আনে যেটা চোখে পড়ে হাতের আঙুলে – একে বলা হয় আঙুল ক্লাবিং। এটা এমন এক অবস্থা, যেখানে আঙুলের ডগাগুলো মোটা হয়ে যায়, নখের চারপাশ ফোলা দেখায় এবং নখের গঠনও একটু বাঁকানো বা গম্বুজের মতো হয়ে যায়।

এই ক্লাবিং সাধারণত তখন দেখা যায় যখন শরীরে দীর্ঘদিন ধরে অক্সিজেনের ঘাটতি থাকে – আর ফুসফুসের ক্যান্সার বা অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগে ঠিক এমনটাই ঘটে। যদিও এটা একমাত্র ক্যান্সারের লক্ষণ নয় এবং অন্যান্য অসুস্থতার সঙ্গেও হতে পারে, তবে ফুসফুসের ক্যান্সারের সঙ্গে যদি ক্লাবিং দেখা যায়, তাহলে সেটা একটি সতর্কতা সংকেত হতে পারে।

তাই কারও যদি দীর্ঘদিন ধরে কাশি, শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথার মতো উপসর্গের সঙ্গে আঙুলের অদ্ভুত পরিবর্তন দেখা যায়, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, শরীর আগেই সিগন্যাল দিয়ে দেয় – শুধু সেটা বুঝে নেওয়া দরকার।

কর্কশতা:

গলার স্বরে হঠাৎ পরিবর্তন, যেমন গলা বসে যাওয়া বা কণ্ঠে শুষ্কতা, অনেক সময় আমরা ঠান্ডা লাগা বা সর্দির কারণে ধরে নিই। কিন্তু যদি এই পরিবর্তন অনেকদিন ধরে চলে, অথচ তার পেছনে কোনও সাধারণ কারণ না থাকে – সেটা ফুসফুসের ক্যান্সারের একটা আভাস হতে পারে।

আসলে, ফুসফুসের পাশে থাকা কিছু স্নায়ু, বিশেষ করে যেগুলো গলার স্বর নিয়ন্ত্রণ করে, ক্যান্সার কোষের চাপে বা ছড়িয়ে পড়ার কারণে প্রভাবিত হতে পারে। তখন কণ্ঠের স্বাভাবিক গুণমান নষ্ট হয়ে যায় – গলা কাঁপতে পারে, ভয়েস বসে যেতে পারে, বা খুব শুষ্ক লাগে।

এই লক্ষণটি যদি কয়েক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকে এবং বারবার একইভাবে ফিরে আসে, তাহলে তা একেবারেই উপেক্ষা করার মতো নয়। বিশেষ করে যদি কাশির সঙ্গে বা ওজন কমে যাওয়া, বুকে ব্যথা, বা শ্বাসকষ্টও থাকে – তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

শরীর আমাদের সঙ্গে কথা বলে – শুধু মনোযোগ দিয়ে শোনা দরকার।

ফুসফুসের ক্যান্সারের সাধারণ কারণ

ফুসফুসের ক্যান্সার একটা জটিল সমস্যা, যেখানে অনেক কারণ একসাথে কাজ করে। এর বড় একটা কারণ হলো তামাকের ধোঁয়া, কারণ সিগারেটের ধোঁয়ায় থাকে অনেক বিষাক্ত ও ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থ—যেমন বেনজিন, ফরমালডিহাইড আর টার—যা ফুসফুসের ভিতরের কোষগুলোকে ক্ষতি করে এবং তাদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি শুরু করে।

এ ছাড়াও, সরাসরি ধূমপায়ী না হলেও, যারা নিয়মিত অন্য কারো সিগারেটের ধোঁয়ার সংস্পর্শে থাকে, বিশেষ করে ঘন ও বন্ধ পরিবেশে, তাদেরও ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এই ধোঁয়া যাকে বলে ‘হ্যান্ড-ডাউন সিগারেট ধোঁয়া’ বা প্যাসিভ স্মোকিং।

আরও একটা বড় কারণ হলো পরিবেশের বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শ, যেমন অ্যাসবেস্টস, আর্সেনিক, রেডন গ্যাস এবং কিছু আধুনিক সিনথেটিক পদার্থ। যারা এইসব বিষাক্ত পদার্থের কাছে কাজ করেন বা বসবাস করেন, তাদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি থাকে।

বংশগত কারণও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। পরিবারের কারো ফুসফুসের ক্যান্সার থাকলে পরবর্তীতে তার আত্মীয়দের মধ্যেও এর সম্ভাবনা বাড়ে। কিছু জিনগত পরিবর্তন যেমন EGFR গুণের বদলও ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

বায়ু দূষণ ও পুরনো শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যেমন সিওপিডি (চিরস্থায়ী অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) থাকলেও ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এছাড়া যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, যেমন রোগ বা ইমিউনোসপ্রেসিভ ওষুধ খাওয়ার ফলে, তাদের ক্ষেত্রেও ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি থাকে।

সুতরাং, ফুসফুসের ক্যান্সার মানে শুধু তামাক নয়, বরং জীবনের বিভিন্ন দিক থেকে নানা ঝুঁকি নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকা জরুরি। ভালো স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ধূমপান ত্যাগ করা, দূষিত পরিবেশ এড়ানো এবং নিয়মিত চিকিৎসা পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

উপসংহার

এটা স্পষ্ট করে বলা খুবই জরুরি যে, ফুসফুসের ক্যান্সারের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিভিন্ন অন্য সমস্যার সাথেও দেখা যেতে পারে, আর এইসব লক্ষণ থাকলেই ফুসফুসের ক্যান্সার নিশ্চিত করা যায় না। পাশাপাশি, ফুসফুসের ক্যান্সার তার প্রথম পর্যায়ে কোনো লক্ষণ না দেখিয়েই ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে পারে।

তাই নিয়মিত স্বাস্থ্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যাদের ঝুঁকি বেশি—যেমন ধূমপায়ীরা বা যাদের পরিবারে ফুসফুসের ক্যান্সারের ইতিহাস আছে তাদের জন্য। এই ধরনের নিয়মিত চেক-আপ ফুসফুসের ক্যান্সার আগেভাগেই সনাক্ত করতে সাহায্য করে।

যখনই কেউ এই ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা উপসর্গ অনুভব করে, তখন সতর্ক হয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য দক্ষ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। দ্রুত সঠিক মূল্যায়ন ও চিকিৎসা শুরু করাই ফুসফুসের ক্যান্সারে রোগীর জীবনের গুণগত মান এবং চিকিৎসার সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়ায়।

সুতরাং, প্রাথমিক পর্যায়ে নজরদারি এবং সময়মতো মধ্যস্থতা করা ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর জন্য আশার আলো হতে পারে এবং থেরাপির পছন্দগুলো উন্নত করতে সহায়ক হয়।

Also Read: মেরুদণ্ড শক্তিশালী করার জন্য যোগব্যায়াম

Disclaimer:

This information on this article is not intended to be a substitute for professional medical advice, diagnosis, treatment, or standard medicines. All content on this site contained through this Website is for general information purposes only.